স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দেড় বছর বয়সী শিশু শিফাত মোল্লাকে অপহরণ করে তার পিতা-মাতার কাছে মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করেছে মোঃ ফারুক নামে এক অপহরণকারী। বিষয়ে কাউকে জানালে শিফাতকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। গত রোববার দুপুরে ফারুক ও তার স্ত্রী শিফাতকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের শিব বাড়ি সংলগ্ন খলিলুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকে শিফাতের পরিবার। বাবা শিপন মোল্লা রাজমিস্ত্রী, মা লাকী বেগম গৃহিনী। তাদের সাথে একই বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকে মোঃ ফারুক ।
গত রোববার দুপুরে ফারুক ও তার স্ত্রী শিফাতকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শিফাতকে ফেরত দেয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে পঁাচ হাজার টাকা দাবি করে ফারুক। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে শিফাত সবার ছোট। বাবা শিপন মোল্লা রাজমিস্ত্রী, মা লাকী বেগম গৃহিনী।
একই বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া ফারুক ও তার স্ত্রী প্রায় ছয়-সাত মাস ধরে এখানে ভাড়া থাকেন। ফারুক শ্রমিকের কাজ করে। গত রোববার দুপুরে ফারুকের স্ত্রী রূপা বেগম বেশ কিছু সময় শিফাতকে কোলে নিয়ে রাখে। এরই মধ্যে সুযোগ বুঝে ফারুক ও তার স্ত্রী সটকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর তাদেরকে না পেয়ে সন্দেহ হয় শিফাতের পরিবারের। ঘরে গিয়ে দেখে দু’টি মোবাইল ফোন সেটও নেই। পরে বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয়দেরকে অবহিত করা হয়।
শিফাতের মা লাকী বেগম জানান, ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার কয়েকঘন্টা পর ফারুক মোবাইল ফোনে পঁাচ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় তিনি ফোনের অপর প্রান্তে ছেলের আব্বু আম্মু ডাক শুনতে পান। ফারুক তখন জানায়, যদি এসব বিষয় কাউকে জানানো হয় তাহলে শিফাতকে মেরে ফেলা হবে।
বাড়ির মালিক খলিলুর রহমান জানান, ফারুক তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি বলে জানিয়েছে। সে প্রায়ই নেশা করতো। টাকার জন্যই সে ওই শিশুটিকে অপহরণ করেছে। পুলিশের পরামর্শে তার কথা অনুযায়ি সোনাইমুড়ির একটি দোকানের নম্বরে বিকাশে টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু আটকানোর পরিকল্পনার কথা বুঝতে পেরে ফারুক শেষ পর্যন্ত ওই দোকানে যায় নি।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রসুল আহমেদ নিজামী জানান, অপহরকারিদের অবস্থান সম্পর্কে অনেকটা
নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করছি শিশুটিকে উদ্ধার করা যাবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply